বাঙ্গালীর ঠাকুর - রবি ঠাকুর
Updated: May 9, 2021
বাঙ্গালীর কাছে পঁচিশে বৈশাখ শুধু রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন নয়, একটি আবেগের দিন। এই দিনটিকে আমরা পালন করি কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, চিত্রশিল্পী, সঙ্গীতজ্ঞ, শিক্ষাবিদ,জাতীয়তাবাদী এবং সর্বোপরি বাঙ্গালীর মনের মানুষের জন্মদিন হিসাবে।
তথাকথিত ভাবে রবীন্দ্র জয়ন্তী বলতে রবীন্দ্রনাথের বহিঃসত্ত্বাটাই আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়, এই যেমন রবীন্দ্রনাথ এর জন্ম, বংশ পরিচয়, সাহিত্যে তার অবদান, নোবেল পুরস্কার, নাইট উপাধি বর্জন ইত্যাদি আরো অনেক কিছু। নিঃসন্দেহে এই ঘটনা গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু আজ ঠাকুরের জন্মদিনে আমি কিছু স্বল্প পরিচিত ঘটনা বলতে চাই, যা আমাদের কাছে আবারো প্রমাণ করে দেয় যে রবি ঠাকুর এক জনই হতে পারে।
রবীন্দ্রনাথ এর লেখা কবিতা প্রথম প্রকাশ হয় ১৮৭৪ সালে 'অভিলাশা' তখন তার বয়স ছিল মাত্র বারো বছর।
আজকের দিনে আমরা প্রথাগত শিক্ষা বলতে যা বুঝি তা কিন্তু রবীন্দ্রনাথ কোনোদিনই অর্জন করেন নি।
তাই প্রথাগত শিক্ষা আমাদের সবার জীবনে জরুরী কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়।
রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে শান্তিনিকেতন এর পথ চলা শুরু। তার শিক্ষা দর্শনে প্রকৃতি ছিল সবার উপরে। যা হয়তো আজ ২০২১. এ দাঁড়িয়ে ও আমরা ভাবতে পারি না।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে তিনি পুনরায় শুরু করেন রাখি বন্ধন উৎসব। আজ আমরা ২০২১ এ দাঁড়িয়ে যে 'Made in India' কথা ভাবছি তার সূত্রপাত হয়েছিল স্বদেশী আন্দোলনের হাত ধরে যার অন্যতম কান্ডারী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
চিত্রশিল্পের সাথে তার পরিচয় হয়েছিলো যদিও একটু দেরিতে। আকিঁবুকিঁ দিয়ে শুরু হয়েছিল তার ছবি আঁকা তার পর তারই আঁকা ছবি পাড়ি দিয়েছিলো ইউরোপ, রাশিয়া ও আমেরিকা তে।
আমাদের দেশের এবং প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত তারই কলমে লেখা।
রবি ঠাকুরের লেখা একটি লাইন দিয়েই লেখা টি শেষ করতে চাই -
'মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক, আমি তোমাদের ই লোক
আর কিছু নয়, এই হোক শেষ পরিচয়'
সত্যিই তিনি আমাদের একজন ছিলেন। সবশেষে একটা কথায় বলতে চাই রবি ঠাকুর কে নিয়ে যতোই লিখি না কেনো লেখা শেষ হবে না, কারণ তিনি যে আমাদের প্রাণের ঠাকুর রবিঠাকুর।

Debanwita Bhattacherya